চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষার আন্দোলনে বিভক্তি: এক পক্ষ অনড়, অন্য পক্ষের কর্মসূচি স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইজারা দেওয়ার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনরত শ্রমিক সংগঠনগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে শ্রমিক–কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) অবরোধ কর্মসূচিতে অনড় থাকার ঘোষণা দিয়েছে; অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদ বন্দর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ‘আপাতত’ তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছে।গতকাল সোমবার দুপুরে দুই সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওছার রশিদ। তবে কোনো বৈঠকেই গুরুত্বপূর্ণ বা সিদ্ধান্তমূলক অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্কপ নেতারা।স্কপ: লিখিত নিশ্চয়তা ছাড়া অবরোধ স্থগিত নয়শনিবার ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি প্রবেশমুখে সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে স্কপ।বৈঠক শেষে টিইউসি নেতা তপন দত্ত জানান— বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এনসিটি ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগের সরকারের নেওয়া। চুক্তি বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা না পাওয়ায় স্কপ কোনো আশ্বাসে সন্তুষ্ট নয়।তিনি আরও বলেন, “আমরা লিখিত নিশ্চয়তা চাই যে এনসিটি কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়া হবে না। তারা তাতে রাজি হয়নি।”স্কপ জানায়, বন্দর রক্ষার আন্দোলনে বামপন্থি দল, নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী, ছাত্র–যুবকর্মীদের যুক্ত হওয়ায় পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।বন্দর রক্ষা পরিষদ: আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিতঅন্যদিকে ‘চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদ’-এর আহ্বায়ক হাসান মারুফ রুমী জানান— বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপাতত তারা এনসিটি ও সিসিটি ইজারা প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে না। এই আশ্বাসে তারা সোমবার ঘোষিত তিনটি স্থানের অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছে।বন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্যচট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমডোর কাওছার রশিদ বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য—বন্দর চালু থাকা। আন্দোলনকারীদের বলেছি যেন বন্দরের ক্ষতি হয় এমন কাজ না করেন। উনারা অনেক ইতিবাচক। এখন দেখা যাক কী হয়।”