দৈনিক নিবার্তা

জমির সব দলিল এখন অনলাইনে: নিরাপদ সেবা পেতে ভূমি মালিকদের যে প্রস্তুতি নিতে হবে


প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ | ফটো কার্ড

জমির সব দলিল এখন অনলাইনে: নিরাপদ সেবা পেতে ভূমি মালিকদের যে প্রস্তুতি নিতে হবে
সারাদেশে দলিল ডিজিটালায়ন—প্রতীকী ছবি



নিবার্তা ডেস্ক:

ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে আরও এক ধাপ এগোলো ভূমি সেবা। দীর্ঘদিনের এনালগ ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে এবার দেশের সব রেজিস্ট্রার অফিসে সংরক্ষিত দলিল ধাপে ধাপে অনলাইনে তোলা হচ্ছে। ১৯০৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত সব দলিল স্ক্যান করে জাতীয় ডাটাবেজে যুক্ত করার কাজ শুরু করেছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের মতে, সিস্টেমটি পুরোপুরি চালু হলে ঘরে বসেই কয়েক মিনিটে দলিল অনুসন্ধান, যাচাই এবং স্বল্প ফি দিয়ে কপি ডাউনলোড করা যাবে।


১১৭ বছরের দলিল এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে

সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রায় ১১৭ বছরের দলিল একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ করা হবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয়:

  • পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি জেলায় স্ক্যানিং কার্যক্রম চলছে।
  • ১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময় হারিয়ে যাওয়া অনেক দলিল অনলাইনে যুক্ত করা সম্ভব হবে না।
  • হারানো প্রতিলিপি যাদের কাছে আছে, তাদের রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিতে হবে ডিজিটাইজেশনের জন্য।

দুর্নীতি কমাতে বড় পদক্ষেপ

দলিল জালিয়াতি, ভূমি দখল, তথ্য গোপন ও ঘুষ—দীর্ঘদিন ধরে ভূমি সেবার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।

ভূমি আইনজীবীদের মতে, নতুন ডিজিটাল সিস্টেম এ পরিস্থিতি বদলে দেবে।
একজন আইনজীবী নিবার্তাকে জানান—

“আগে একটা দলিল খুঁজতে অনেক সময় ঘুষ দিতে হতো ১,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত, অথচ সরকারি ফি মাত্র ২০ টাকা। অনলাইন হলে এই হয়রানি সম্পূর্ণ বন্ধ হবে।”

এ উদ্যোগে অনুপস্থিত মালিকদের জমি জাল দলিল দিয়ে বিক্রি করার প্রবণতা কমে যাবে বলেও তারা মনে করেন।


ভূমি মালিকদের করণীয়

ডিজিটাল সেবা পুরোপুরি চালু হলে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে দলিল খোঁজা, মালিকানা যাচাই এবং কপি ডাউনলোড সবই করা যাবে। মূল দলিল হারালেও অনলাইন কপি ভবিষ্যতে আইনি প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।

যা যা মাথায় রাখতে হবে:

  • সিস্টেম চালুর সরকারি ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  • অনলাইনে না পাওয়া পুরনো দলিলের কপি নিজ উদ্যোগে রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিন।
  • কোনো জাল দলিল ডিজিটাল ডাটাবেজে যুক্ত করা হবে না।
  • ভবিষ্যতে অনলাইন কপি আদালতে বা সরকারি কাজে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

দীর্ঘমেয়াদে যে সুবিধা মিলবে

  • জমি সংক্রান্ত মামলাজট ও বিরোধ কমে যাবে।
  • প্রতারণা ও ঘুষের প্রবণতা হ্রাস পাবে।
  • প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দলিল সংগ্রহ হবে আরও সহজ।
  • সেবা গ্রহণ হবে আরও দ্রুত, আধুনিক ও স্বচ্ছ।
  • সরকারি দপ্তরের ওপর নির্ভরতা কমে যাবে—সব সেবা হবে হাতের মুঠোয়।


বিষয় : দলিল মামলা ডিজিটাল জাতীয়

আপনার মতামত লিখুন

দৈনিক নিবার্তা

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫


জমির সব দলিল এখন অনলাইনে: নিরাপদ সেবা পেতে ভূমি মালিকদের যে প্রস্তুতি নিতে হবে

প্রকাশের তারিখ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫

featured Image



নিবার্তা ডেস্ক:

ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে আরও এক ধাপ এগোলো ভূমি সেবা। দীর্ঘদিনের এনালগ ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে এবার দেশের সব রেজিস্ট্রার অফিসে সংরক্ষিত দলিল ধাপে ধাপে অনলাইনে তোলা হচ্ছে। ১৯০৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত সব দলিল স্ক্যান করে জাতীয় ডাটাবেজে যুক্ত করার কাজ শুরু করেছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের মতে, সিস্টেমটি পুরোপুরি চালু হলে ঘরে বসেই কয়েক মিনিটে দলিল অনুসন্ধান, যাচাই এবং স্বল্প ফি দিয়ে কপি ডাউনলোড করা যাবে।


১১৭ বছরের দলিল এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে

সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রায় ১১৭ বছরের দলিল একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ করা হবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয়:

  • পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি জেলায় স্ক্যানিং কার্যক্রম চলছে।
  • ১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময় হারিয়ে যাওয়া অনেক দলিল অনলাইনে যুক্ত করা সম্ভব হবে না।
  • হারানো প্রতিলিপি যাদের কাছে আছে, তাদের রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিতে হবে ডিজিটাইজেশনের জন্য।

দুর্নীতি কমাতে বড় পদক্ষেপ

দলিল জালিয়াতি, ভূমি দখল, তথ্য গোপন ও ঘুষ—দীর্ঘদিন ধরে ভূমি সেবার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।

ভূমি আইনজীবীদের মতে, নতুন ডিজিটাল সিস্টেম এ পরিস্থিতি বদলে দেবে।
একজন আইনজীবী নিবার্তাকে জানান—

“আগে একটা দলিল খুঁজতে অনেক সময় ঘুষ দিতে হতো ১,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত, অথচ সরকারি ফি মাত্র ২০ টাকা। অনলাইন হলে এই হয়রানি সম্পূর্ণ বন্ধ হবে।”

এ উদ্যোগে অনুপস্থিত মালিকদের জমি জাল দলিল দিয়ে বিক্রি করার প্রবণতা কমে যাবে বলেও তারা মনে করেন।


ভূমি মালিকদের করণীয়

ডিজিটাল সেবা পুরোপুরি চালু হলে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে দলিল খোঁজা, মালিকানা যাচাই এবং কপি ডাউনলোড সবই করা যাবে। মূল দলিল হারালেও অনলাইন কপি ভবিষ্যতে আইনি প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।

যা যা মাথায় রাখতে হবে:

  • সিস্টেম চালুর সরকারি ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  • অনলাইনে না পাওয়া পুরনো দলিলের কপি নিজ উদ্যোগে রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিন।
  • কোনো জাল দলিল ডিজিটাল ডাটাবেজে যুক্ত করা হবে না।
  • ভবিষ্যতে অনলাইন কপি আদালতে বা সরকারি কাজে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

দীর্ঘমেয়াদে যে সুবিধা মিলবে

  • জমি সংক্রান্ত মামলাজট ও বিরোধ কমে যাবে।
  • প্রতারণা ও ঘুষের প্রবণতা হ্রাস পাবে।
  • প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দলিল সংগ্রহ হবে আরও সহজ।
  • সেবা গ্রহণ হবে আরও দ্রুত, আধুনিক ও স্বচ্ছ।
  • সরকারি দপ্তরের ওপর নির্ভরতা কমে যাবে—সব সেবা হবে হাতের মুঠোয়।



দৈনিক নিবার্তা

সংবাদ পরিবেশনার আধুনিক সমাধান
দৈনিক নিবার্তা- সংবাদ প্রকাশে আপোষহীন
কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক নিবার্তা । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত