|| নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসিকে ঘিরে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এইচ.বি.এম ইকবালসহ মোট ২০ জনের দেশের বাইরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।আদালতের বেঞ্চ সহকারী রিয়াজ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারিনিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন— চেয়ারম্যান এইচ.বি.এম ইকবাল তার ছেলে পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল ভাই মঈন ইকবাল বোন নওরীন ইকবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আবু জাফর কাজী আব্দুল মজিদ সাবেক এমডি ও সিইও খন্দকার ফজলে রশিদ এম. শাহ আলম সারোয়ার, নিয়াজ হাবীব, মাসিহুল হক চৌধুরী, কে এ এ এম মাজেদুর রহমান, ড. এম রিয়াজুল করিম অতিরিক্ত এমডি সৈয়দ নওশের আলী, শহীদ হাসান মল্লিক, শাহেদ সেকান্দার সাবেক অতিরিক্ত এমডি শামসুদ্দিন চৌধুরী পরিচালক আরিফ আলম, ফৌজিয়া রেকজা বানু সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অপারেশন ম্যানেজার এ. এম. ওমর খসরু ফরিদা ইয়াসমিন দুদকের আবেদনে যে অভিযোগগুলো উঠে আসেদুদকের পক্ষ থেকে উপপরিচালক হোসাইন শরীফ এ নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়— এইচ.বি.এম ইকবাল ও তার ঘনিষ্ঠরা প্রিমিয়ার ব্যাংকের ইকবাল সেন্টারসহ বিভিন্ন অফিস ভাড়া বাবদ প্রায় ১,৪৩৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার নামে ২০ হাজার কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ প্রদর্শন করে ৪,৮১৮ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। স্টেশনারি বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে ১,৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ। ভুয়া এফডিআর খোলা, অবৈধ মুনাফা বিতরণসহ শত কোটি টাকার অনিয়ম। প্রিমিয়ার ব্যাংক ফাউন্ডেশন, বিপিএল স্পনসরশিপ এবং ভুয়া প্রচারনা দেখিয়ে বহু টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগও ওঠে। বিদেশ পালানোর আশঙ্কাদুদক জানিয়েছে— অভিযুক্তরা ইতোমধ্যে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা দেশ ছাড়তে পারলে তদন্ত প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সেজন্যই তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।আদালত আবেদন পর্যালোচনা করে ২০ জনের বিদেশগমন সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।